নিউজ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গরুর খামারিকে ডাকাতি মামলা দেয়ার অভিযোগে জেলা ডিবির পরিদর্শকসহ ৭ সদস্য ও ৩ সোর্সের বিরুদ্ধে মামলা করেছে খামারি জামালের ছোট ভাই আমান। আজ রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বাদী। আদালত নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিয়ে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরির্দশক (ইন্সপেক্টর) মো. গিয়াস উদ্দিন,এসআই শহিদুল ইসলাম, এএসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই আমিনুল হক,কনস্টেবল হাদিউজ্জামান,কনস্টেবল ইব্রাহিম হোসেন,কনস্টেবল আফাজউদ্দিন ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সোর্স সদর উপজেলার মধ্য কাশিপুর এলাকার মজিবুল্লাহর ছেলে মাহবুব, চর নরসিংপুর এলাকার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান এবং ভোলাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার জাহেদ আলীর ছেলে সুমন আক্তার। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাইদুর রহমান সাব্বির মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকার মৃত. নুরুল ইসলামের ছেলে জামাল (৪০) নিজ বাড়িতেই গরুর খামার দিয়ে ব্যবসা করেন। ২ জুন দুপুর ২টায় গরুর খামারে কাজ করার সময় ডিবির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন কাউকে কিছু না বলে জামালকে ধরে নিয়ে যায়।
এরপর জামালের ছোট ভাই আমানের অনুরোধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আমি নিজেসহ ডিবি কার্যালয়ে যাই। তারপর পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিনের কাছে ৪দিন ডিবি কার্যালয়ে জামালকে আটক রাখার কারণ জানতে চাই। এতে পরির্দশক গিয়াস উদ্দিন গ্রেফতারের কারণ না জানিয়ে ও দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা না পেয়ে হুমকি দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। পরে আমান ৭ জুন সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। একইদিন পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন ক্ষুদ্ধ হয়ে ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে জামালকে ডাকাত বানিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা দিয়ে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়। এতে ন্যায় বিচারের আশায় জামালের ছোট ভাই আমান বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।