নিউজ ডেস্কঃ পদ্মা নদীতে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে নাব্যতা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে নাব্যতা সংকটের কারণে আবারো ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এর ১৮ ঘণ্টা পর আজ রবিবার দুপুরের দিকে হালকা যানবাহন নিয়ে ৩/৪টি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। নৌপথের লৌহজং টার্নিং, পদ্মা সেতুর চায়না চ্যানেল টার্নি পয়েন্টসহ কয়েকটি পয়েন্টে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার দেখা দিয়েছে। গত ২০ দিন ধরেই দিনেরবেলা সীমিত আকারে ফেরি চললেও সন্ধ্যার পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকছে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। উভয় ঘাটে ছয় শতাধিক যানবাহন আটকে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ দিনের মতো আজও পদ্মা নদীর শিমুলিয়া অংশে পানি হ্রাস পেয়েছে। একদিকে পানি কমায় অপরদিকে উজানের নদী ভাঙ্গনের ফলে পলি পড়ায় লৌহজং টার্নিং, চায়না চ্যানেল টার্নিং এ ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছিল।গতকাল শনিবার দিনেরবেলা দুটি ফেরি চলাচল করলেও সন্ধ্যা ৭টা থেকে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ৩/৪টি কেটাইপ ও ছোট ফেরি ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে চলাচল শুরু করে। বাকি সকল ফেরিই বন্ধ রয়েছে। ফেরি সার্ভিস অচলাবস্থার কারণে উভয় ঘাটে ছয় শতাধিক যানবাহন আটকে যাত্রী ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট সহকারী ম্যানেজার মো. রুহুল আমিন বলেন, দিন দিন নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকার পর আজ দুপুর থেকে অল্প কয়েকটি ফেরি চলাচল করছে। নাব্যতা সংকট নিরসনে ড্রেজিং চলছে। সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনগুলোর বিকল্প রুট ব্যবহার করা উচিত।