নিউজ ডেস্কঃ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্যের কারণে এলাকাবাসী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ফমেক হাসাপাতালের সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় পৌরসভার একটি বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং স্টেশন ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণে সম্প্রতি সেটি অপসারণ করা হয়। এখন এই ফমেক হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পাশে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সেচ অফিসের সামনের খালে। অনেক হোটেলের বর্জ্যও একইসঙ্গে ফেলা হয়। এতে সেখানে চরম দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। বিএডিসি অফিস চত্বরে এসব পঁচা পানি ঢুকে পড়ছে। অনেকে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আশেপাশের এলাকাবাসী ও পথচারীরাও এতে অতিষ্ঠ। এলাকাবাসী বলেন, মেডিকেল কলেজের সামনে একটি ময়লা ফেলার জায়গা ছিল। সেখানে সব বর্জ্য ফেলা হতো। এখন প্রাইভেট ক্লিনিকসহ রাতের বেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও বর্জ্য ময়লা ফেলা হয় এখানে। এই ময়লা ছড়িয়ে পড়ছে। বাতাসে বিষাক্ত দুর্গন্ধে রাস্তায় সুস্থভাবে চলাচল করা যায়না। বিএডিসি সেচ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আহমেদ মুন্সি বলেন, বর্জ্য ফেলা ও দুর্গন্ধের বিষয়টি ফরিদপুর পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথুকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তিনি এখানে একটি ডাস্টবিন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে এখনো এখানে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা বন্ধ হয়নি। ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, ফমেক হাসপাতালের সামনের ডাস্টবিনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা ওই এলাকায় আরেকটি বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং স্টেশন অচিরেই করে দেব। মেডিকেল এলাকায় যত্রতত্র ক্লিনিক গড়ে উঠায় এসব নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।