News71.com
 Bangladesh
 04 Jan 20, 12:10 PM
 881           
 0
 04 Jan 20, 12:10 PM

বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেড ডুবি॥ঘুমন্ত চার শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেড ডুবি॥ঘুমন্ত চার শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিউজ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী একটি নৌযান (বাল্কহেড) ডুবে ঘুমন্ত চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বাল্কহেডটির মাস্টারসহ দুজন সাঁতরে পারে উঠতে পেরেছেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল ঢাকার কেরানীগঞ্জ লাগোয়া হওয়ায় লাশগুলো কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করে পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এমভি তসলিম-১ নামের বাল্কহেডটি ছিদ্র হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করায় এটি ডুবে যায়।নিহতরা হলেন ঝালকাঠির নলছিটির কান্দাবপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে লুত্ফর রহমান (৩৯), পিরোজপুরের কাউখালীর পূর্ব আমড়াঝুড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে মোস্তফা তালুকদার (৫৫), পিরোজপুরের বটবাড়ীর ছোট আরজি এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে বাবু (১৮) ও বরিশালের বানারীপাড়ার ইলুহার এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে মহিবুল্লাহ (৬০)। আর প্রাণে বেঁচে ফেরা দুজন হলেন বাল্কহেডের মাস্টার আমির হোসেন (৫৫) ও কুতুব উদ্দিন (২৯)।মাস্টারের বরাত দিয়ে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ কাজল মিয়া জানান, রাত আড়াইটার দিকে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতেবাল্কহেডটি নোঙর করা হয় পরিষ্কার ও মেরামত করার জন্য। বাল্কহেডটি থেকে ময়লা বের করে দেওয়ার জন্য কিছু অংশে ছিদ্র করা হয়। কাজ শেষে শ্রমিকরা ইঞ্জিন রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই সব ছিদ্র দিয়ে পানি ভেতরে ঢুকে আস্তে আস্তে বাল্কহেডটি ডুবতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে মাস্টারসহ দুজন বেরিয়ে কোনো রকমে সাঁতরে তীরে ওঠেন। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকা বাকি চারজনকে নিয়ে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।

বিষয়টি জানতে পেরে দুর্ঘটনাস্থলে যান নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনরা। এদিকে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার করে টাকা ও দুটি করে কম্বল দেন ইউএনও নাহিদা বারিক। তিনি নিহতদের পরিবারকে সমবেদনাও জানান।কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই কামরুল হাসান জানান, ‘আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশগুলো নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা-মোকদ্দমা করা হবে না বলে জানিয়েছে।’ বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, নৌশ্রমিক আইনে নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা প্রদান করাসহ বাড়িতে লাশ নেওয়া থেকে শুরু করে দাফন পর্যন্ত সব খরচ বহন করবে কম্পানি।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন