নিউজ ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় গোপালগঞ্জে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ঘন্টায় এ মেশিন ১ একর জমির ধান কেটে মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করে দিচ্ছে। এতে কৃষকের সময় ও খরচ দুই বাঁচছে। সেই সঙ্গে শ্রমিক নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। মেশিন দিয়েই জেলার অর্ধেক ধান কাটা সম্ভব হবে বলে গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। শনিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বাগান উত্তরপাড় গ্রামের কৃষক দুলালের জমির ধান মেশিন দিয়ে কেটে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ ও কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র হাজী কামাল হোসেন শেখ। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর জেলার ৫ উপজেলার ৭৬ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন। জেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটতে ইতিমধ্যে ৫৪ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ৭০টি রিপার মেশিন নামানো হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিতুল রায় বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে ঘন্টায় ১ একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করা যায়। এতে খরচ হয় মাত্র ৮ হাজার টাকা। শ্রমিক দিয়ে এ কাজ করতে কৃষকের ১৬ হাজার টাকা লাগে। এ মেশিন দিয়ে ধান কাটলে কৃষকের খরচ ও সময় দুই বাঁচে। এ মেশিন কিনতে সরকার কৃষককে অর্ধেক টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। এছাড়া রিপার মেশিন দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে। আমরা আশা করছি অর্ধেক ধান এসব মেশিন দিয়ে কাটা যাবে। কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মিলন বলেন, নিচু জমির ধান কাটতে রিপার মেশিন ব্যবহার করা হবে। উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃত্তিবাস পান্ডে বলেন, মেশিন দিয়ে ধান কাটতে আমরা কৃষক, চালক ও ম্যাকানিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এ মেশিনে ধান কাটা খুবই সহজ। খরচও অর্ধেক। একটি মেশিন দিয়ে দিনে রাতে অন্তত ২০ একর জমির ধান কাটা যায়।