নিউজ ডেস্কঃ গহনা হিসেবে মুক্তার কদর রয়েছে বিশ্বে। প্রাকৃতিক মুক্তার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুকুরে মুক্তা চাষ শুরু হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের কালিচরণপুর গ্রামে মাছের চাষের সাথে মুক্তা চাষ করে সাফল্য পেতে যাচ্ছে সাজ্জাদুল রহমান তারেক। ২০১৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে মাছের সাথে মুক্তা চাষ শুরু করেন তিনি। নিজের এক একর পুকুরে ১৪ হাজার ঝিনুকে মুক্তা চাষ করেছেন তারেক। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তা রফতানি করা যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি। এরই মাঝে দেশের বেশ কিছু কোম্পানি তার সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। সাজ্জাদুল রহমান তারেক জানান ২০১৮ সালের দিকে আমি ভারতের একটি মুক্তা গবেষণা কেন্দ্র সেপা থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। এরপর স্বপ্ন দেখি নিজের পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি মুক্তা চাষের। ২০১৯ সালের ১৪ হাজার ঝিনুকের মাঝে মুক্তা চাষ শুরু করি। প্রথমে স্থানীয় বিভিন্ন পুকুর থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করি। এরপর ঝিনুককের মধ্যে ডাইজ স্থাপন করা হয়। এরপর টিস্যু প্রতিস্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের নিউক্লিয়াস পদ্ধতিতে মুক্তা চাষ শুরু করি। তিনি আরো বলেন স্থানীয়ভাবে ২০ হাজার ঝিনুক সংগ্রহ করি। বাইরের দেশ থেকে ডাইজ এবং নিউক্লিয়াস সংগ্রহ করে মুক্তার চাষ শুরু করি। প্রথমে ৯ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তার চাষ শুরু করি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমার মুক্তা পরিপক্কতা পাবে। ১৪ হাজার ঝিনুকের মধ্যে কিছু ঝিনুক মারা যায়। যেখান থেকে মুক্তা তৈরি হয় না। পরিচর্যার ক্ষেত্রে দেখা যায় আমার পুকুরের ১০ শতাংশ ঝিনুক মারা গেছে। মুক্তার বাজার মূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। আমি প্রত্যাশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি শেষে দিকে ২৫ লাখ টাকার মুক্তা বিক্রি করতে পারবো।