নিউজ ডেস্কঃ ঢাকার ধামরাইয়ে ফের বায়ুদূষণকারী অবৈধ ১১টি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। পাশাপাশি এসকাভেটর দ্বারা ইটভাটাগুলোর স্থাপনা সম্পুর্ণরূপে ভেঙে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সাথে ফায়ার সার্ভিসের পানি দিয়ে ইটভাটাগুলোর আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলা হয়। সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখা ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তর (ঢাকা) মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর নির্বাহী হাকিম কাজী তামজীদ আহমেদ। এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করে ঢাকা জেলার পুলিশ ফোর্স, র্যাব এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যগণ।
ধামরাইয়ের কালামপুর ডাউটিয়া এলাকার মেসার্স আমেনা ব্রিকসকে ২০ লাখ টাকা, মেসার্স আইরিন ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, মেসার্স হোসেন ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা, মেসার্স এ আর এম ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা, মেসার্স কালামপুর ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা, মেসার্স এসবি-১ কে ১ লাখ টাকা, মেসার্স এস বি-২ কে ১ লাখ টাকা, মেসার্স লাকী ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, মেসার্স নুর ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা, উত্তর পাড়া এলাকার মেসার্স পদ্মা ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা এবং মেসার্স ফারুক ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা।
নির্বাহী হাকিম কাজী তামজীদ আহমেদ জানান, হাইকোর্টের রিট পিটিশন নম্বর ৯১৬/২০১৯ এর প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী বায়ুদূষণরোধে অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটাসমুহ বন্ধ করার লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০), এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রত্যেক জেলায় জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রদান করা হবে। অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।