মো: সোহানঃ পাইকগাছার লক্ষীখোলায় হাটের জমির বিরোধ নিয়ে শেষ মুহুর্তে ঐক্য হয়েও ঐক্য হলনা! গত মঙ্গলবারে পাইকগাছা - কয়রার সংসদ সদস্যোর উপস্থিতিতে হাটের পক্ষে শফি গাজী, আফসার মোল্লা গং ও প্রতিপক্ষ-টুটুল কাগজী দীর্ঘক্ষন তাদের পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য তুলে ধরেণ। কয়েক ঘন্টা যুক্তি- তর্কের পর হাটের জমির পরিবর্তে পাইকগাছা -কয়রা সড়কের ধারে ২০১১সালের সাবেক এমপি এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা ও নিজের ফর্মুলানুযায়ী টুটুল কাগজীদের ৫৪ ও পরে ৪ শতক যুক্ত করে মোট-৫৮ শতক জমিতে বিকল্প হাট স্থাপনের পূর্বের প্রস্তাবমতেই এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক বাস্তবায়নের জন্য দিক নির্দেশনা দেন।তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে হাটের স্বপ্ন পুরনে এ প্রস্তার দিলে এক পর্যায়ে হাটের পক্ষে শফি গাজী, আফসার মোল্লা, বাচ্চু মোল্লা গংরা টুটুল কাগজীর কথা মতো ৫৮ শতক জমি হাটের নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার শর্তে এ প্রস্তাবে রাজি হলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক গাজী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তির কারনে এ প্রস্তার ভেস্তে যায়।
যদিও এর আগে নানা তর্ক -বিতর্কের পর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু এমপিকে উদ্যেশ্য করে বলেন, যেহেতু পুর্বের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, সে কারনে এলাকাবাসীর চাহিদা মতে হাটের জায়গায় হাট উদ্ভোধনের অনুরোধ করেন । কিন্ত সাংসদ মুক্তিযাদ্ধাদের কথায় অপরাগতা প্রকাশ করে স্থায়ী সমাধানের জন্য দু পক্ষকে ঐক্যমতে পৌছানোর কথা বলেন এবং এক পর্যায়ে কোন মিমাংশা ছাড়াই এ সভাটি শেষ হয়।
এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ'লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী, আলহাজ্ব মনছুর আলী গাজী, এমপি পুত্র আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন,মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ গাজী, শহীদ কাগজীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ। উল্লেখ্য হাটের জমি নিয়ে পাইকগাছা সহকারী জজ আদালত ও জেলা যুগ্মজজ আদালত সরকার পক্ষে রায়ের পর বর্তমানে টুটুল কাগজী গংদের হাইকোর্টে দায়ের করা আপিল মামলায় আদালত দখল স্বত্বের ভিত্তিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।