নিউজ ডেস্কঃ খুলনায় ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাদের সাথে আলোচনা না করেই দলে অনুপ্রবেশকারীদের যোগদান নিয়ে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। একই সাথে অতি উৎসাহী কিছু নেতাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন। আজ শনিবার বিকালে খুলনা ইউনাইটেড ক্লাবে মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃনমূল নেতারা এ ক্ষোভের কথা জানান। এ সময় সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে। যেন দলের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি না থাকে। এছাড়া সমাজের ভাল মানুষ, যাদের মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা নেই, যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক অভিযোগ নেই, তাদেরকে দলে যোগদানের ব্যাপারে বাধা নেই। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত কাউকে দলে নেয়ার সুযোগ নেই।
বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় ঈদের পরপরই মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও থানার কাউন্সিল এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল করার বিষয়ে আলোচনা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এসএম কামাল হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী।
তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে এবং মহানগর সম্মেলন যথাসময়ে সম্পন্ন করতে এ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু জায়গায় দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আলাদা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। নেতারা বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কমিটি করতে হবে। যেন ওপর থেকে একটা আবরণ আর ভেতরটা ফাঁপা না থাকে। এ ক্ষেত্রে সকলকে দায়িত্বপূর্ণ ও আন্তরিক হতে হবে।