মিথুন কুমারঃ বৃষ্টি সবসময় রোমান্টিক হয় না। কখনো কখনো বৃষ্টি হয় কষ্টের বৃষ্টি, সবার জন্য রোমান্টিকতার পরিবর্তে বয়ে আনে সীমাহীন ভোগান্তি। কথাটি অতি সত্য তার বাস্তব প্রমাণ এই শৈত্যপ্রবাহের মধ্য বৃষ্টি। এই অসময়ের বৃষ্টি যেমন সারা দেশের মানুষের ভোগান্তিতে ফেলেছে। তার থেকে বড় সমস্যায় পড়েছে কৃষকরা। অসময়ের বৃষ্টিতে আমন ধান চাষিরা পড়েছে বিপাকে। খুলনার কয়েকটি উপজেলার ফসলের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে পানি জমে আছে। অনেক ধান জমিতে কেটে রাখা আছে, আবার কারো বা ধান মাড়াই করার জন্য উঠানে রাখা আছে, এতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। গতরাতে মাঝারি থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে জল জমে খুলনার ডুমরিয়া,বটিয়াঘাটা,রুপসা,ফুলতলার বিভিন্ন বিলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সঙ্গে বাতাসে এলাকার অধিকাংশ মাঠের কাঁচা ও পাকা ধানের গাছ হেলে পানির নিচে ডুবে আছে। ক্ষেতের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে না পেরে জেলার হাজার হাজার কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এবং ব্যাপক ক্ষতির আশংঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল দিন শেষে মধ্যরাতে শুরু হয়েছে সে বৃষ্টি। খুলনাসহ সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার থেকে খুলনায় বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারাদেশে। গত মঙ্গলবার থেকে বইছে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতার মধ্যেই মধ্যরাতেই হলো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। অন্যদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে অনেকগুন। তীব্র শীতের প্রস্তুতি ছাড়াই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তারা পড়েন বিপদে। বৃষ্টিতে ভেজার কষ্ট তো পেতে হয়েছে, সেই সঙ্গে শীতে কষ্টে পড়তে হয়েছিল অনেককে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দিন দিন তাপমাত্রার অবনতি হতে থাকবে। আজ শুক্রবার দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী দু্দিনের প্রথম দিকে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরবর্তী পাঁচ দিনে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।