নিউজ ডেস্কঃ খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ (২৫) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা দাবি করছেন অত্মহত্যার উদ্দেশ্য তিনি হারপিক খেয়েছেন। তার অবস্থা গুরুতর রয়েছে।বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরবর্তিতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য ছাড়াও সাবেক মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী ও বর্তমান খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দের ছোট ছেলে।খুমেকের মেডিসিন ওয়ার্ডের সহকারি রেজিস্টার খালেদি মাহমুদ বলেন, অভিজিৎ চন্দ্র হারপিক খেয়ে গুরুত্ব অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তার রক্তের চাপ একবারে নিম্ন পর্যায়ে মেনে গেছে। তিনি শঙ্কামুক্ত নয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানাগেছে অভিজিতের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যম্বুলেন্সে করে বিশেষ ব্যবস্থায় খুলনা থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে । সেখানে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কী কারণে তিনি হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তা জানা যায়নি। ইতিপুর্ব তার বড়বোন (দিদি) জয়ান্তি ওরফে বেবী রানীও বাবার ( সাবেক মৎসমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ) ঢাকাস্থ মন্ত্রী আবাসে হারপিক পান করে আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে ডিএমপি’র রমনা থানায় অপমৃত্যু মামলা হলেও মন্ত্রী বাবার প্রভাবে তা তদন্তে চাপা পড়ে যায়।আজও ঘটনার রহস্য জনসক্ষক্ষে আসেনি।