আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তিন কিয়াও পেশাগত দিক থেকে একজন চিকিৎসক। তবে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী ও এনএলডি প্রধান অং সান সু চির একান্ত সচিবও। আগামী পরশু মিয়ানমার তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে, এর মধ্যে তার নামই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত নভেম্বরে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলেও সাংবিধানিক বাধার কারণে দলটির প্রধান সু চি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না।
তবে দেশের প্রেসিডেন্ট হবেন সরকার গঠনকারী দল থেকে এবং সে ক্ষেত্রে সুচির সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর তিন কিয়াওকেই সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে যাচ্ছে দীর্ঘকাল ধরে সামরিক শাসনে পীড়িত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।
দেশটির সামরিক জান্তা সরকার সু চিকে প্রেসিডেন্ট হওয়া থেকে বঞ্চিত করার জন্যই সংবিধানে একটি ধারা সংযোজন করে। সু চির দল সরকার গঠন করলেও আপাতত সেটি সংশোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে পাশার দান হিসেবে সু চি তার অনুগতদের মধ্যে এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাইছেন, যিনি মূলত প্রক্সি প্রেসিডেন্ট হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। নেপথ্যে থেকে সরকার পরিচালনা করবেন সুচি নিজেই ।
অনেকটা ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মতোই চাল চেলেছেন তিনি। সোনিয়া নিজে প্রধানমন্ত্রী না হয়ে ড. মনমোহন সিংকেই প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন এবং অন্তরালের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতেই নিজের আসন অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন।
প্রথা অনুযায়ি আগামীকাল মিয়ানমারের সংসদ এনএলডি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নিজেদের দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে। তিনটি নাম আসবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে। এদের মধ্যে উচ্চ কিংবা নিম্নকক্ষের এমপিদের মধ্য থেকে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।