নিউজ ডেস্ক: জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্হান নিতে শুরু করায় পাকিস্তান ও ভারতকে হুমকি দিয়েছে জঙ্গী সংগঠন জয়েশ-ই-মোহম্মদ। সংগঠনের অন্যতম প্রধান নেতা মোহাম্মদ মাসুদ আজহারকে গ্রেফতারের পর গতকাল এবং আজ জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্হা। আজ আরও ৬ বিচ্ছন্নতাবাদী জঙ্গীকে আটক করা হয়েছে বলে ভারতীয় টিভি জি নিউজ জানিয়েছে। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের সর্বাত্মক এই অভিযান শুরু করার পর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জয়েশ -ই- মোহাম্মদ তাদের অফিসিসিয়াল ওয়েব সাইট ও নিউজ পোর্টাল আল কালাম পাকিস্তান এবং ভারতকে হুমকি বার্তা দিয়েছে।

হুমকি বার্তায় জয়েশ ই মোহাম্মদ নেতারা নেতারা বলেছেন পাকিস্তান সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিয়ে ভুল করেছে। তারা বলেছেন ভারতকে খুশি করার জন্য পাকিস্তান যে পদক্ষেপ গ্রহন করছে আখেরে তার জন্য পাকিস্তানকে পস্তাতে হবে। এর চরম মুল্য দিতে হবে তাদের। একই হুমকি তারা ভারতকেও দিয়েছে। ভারতের উদ্দেশ্য তাদের ব্ক্তব্য হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের যে সকল সদস্য (বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গী) আটক রয়েছে তাদের অবিলম্ব মুক্তি দিতে হবে। না হলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবস্হা নিতে পিছপা হবে না জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।

জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করায় ভারত সরকারও সহযোগীতার হাত বাড়াতে যাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে । আগামীকাল পাকিস্তানের রাজধানি ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়  বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। ইতিপুর্বে পরিবর্তিত পরিসহিতিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ইসলামবাদ সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল ।

উল্লেখ্য ভারতসহ আন্তজাতিক মহলের চাপে গতকাল বুধবার থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান সরকার। গতকাল দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফের সভাপতিত্বে এক উচ্চ         পর্যায় বৈঠকে আজ দেশটির নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন  জযেশ  ই মোহাম্মদের সব অফিস বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । এছাড়াও পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলার তদন্তের অংশ হিসেবে জয়েশ-ই মোহাম্মদের নেতা মোহাম্মদ মাসুদ আজাহার সহ কয়েকজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সারা দেশে জয়েশের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।

সরকারী সুত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তান টেলিভিশন আরও জানায় পাকিস্তানে অভ্যন্তরে তদন্তের পাশাপাশি হামলার ঘটনার অধিকতর তদন্ত করার জন্য পাকিস্তানী তদন্তকারী দল জে আই (Joint Interrogation Team-JTI) কে ভারতের পাঠানকোটেও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ২রা জানুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তের অদূরে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পাঠানকোটে ভারতীয় বিমানবাহীনীর ঘাঁটিতে একদল বন্দুকধারী জঙ্গি হামলা চালিয়ে ৭ জনকে হত্যা করে।

ভারত দীর্ঘদিন ধরে দাবী করে আসছিল কাশ্মীর-ভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই মোহম্মদকে পাকিস্তান সমর্থন। অবশ্য পাকিস্তান ভারতের এই অভিযোগ করলেও পাকিস্তান এই অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। কিন্ত এবার খোদ পাকিস্তান জযেশ-ই-মোহাম্মদের সকল অফিস বন্ধ করে ও জঙ্গিনেতা মাসুদ আজাহার সহ কয়েকজনকে আটক করে প্রমান করল তার দেশে জয়েশ-ই-মোহাম্মদ বহাল তবিয়তে কাজ করে চলেছে।