News71.com
 International
 05 Feb 16, 05:14 AM
 1034           
 0
 05 Feb 16, 05:14 AM

সিরিয়া ইস্যুতে তুরস্কের পাশাপাশি ন্যাটোর সাথেও সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারে রাশিয়া ।। ক্রেমলি

সিরিয়া ইস্যুতে তুরস্কের পাশাপাশি ন্যাটোর সাথেও সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারে রাশিয়া ।। ক্রেমলি

নিউজ ডেস্ক : সিরিয়ায় সামরিক অভিযান নিয়ে তুরস্ক ও রাশিয়া একে অপরকে দোষারোপ করে যাচ্ছে। রাশিয়ার তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সিরিয়ায় অভিযান চালানোর তুরস্ক প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপরদিকে তুরস্ক বলছে সিরিয়ায় নিজেদের করা ‘অপরাধ’ থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরিয়ে নিতে রাশিয়া এসব কথা বলছে ।

জানাগেছে রুশ বিমান হামলার সমর্থনে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী শিগগিরই আলেপ্পো শহর ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে। এদিকে গতকালের সামরিক অভিযানের কারণে আলেপ্পোবাসীরা ‘অনাহারের’ মুখে পড়েছে অভিযোগ করে তুরস্ক বলেছে, নিজের নিরাপত্তা রক্ষায় যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার তাদের আছে। এতে পাঁচ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেখা দিচ্ছে।

ইতোমধ্যে সৌদি আরব জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট সিদ্ধান্ত নিলে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত আছে। এদিকে দুই বছরের মধ্যে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে প্রথম শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার পর বুধবার তা স্থগিত করেছে জাতিসংঘ। গৃহযুদ্ধ না থেমে তা আরো তীব্র হয়ে ওঠায় প্রথম থেকেই আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।

এতকিছুর পরও ক্রেমলিন ও হোয়াইট হাউজ বলেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে শান্তি আলোচনা আবার শুরু হবে। এদিকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য দাতাগোষ্ঠি লন্ডনে মিলিত হয়েছেন। সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শরণার্থীদের মানবিক প্রয়োজন মেটাতে আগামী চার বছরে ১১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সম্মেলনে তুরস্ক বলেছে,আলেপ্পো থেকে ৭০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী তাদের সীমান্তের দিকে রওয়ানা হয়েছেন।

চার মাসের রুশ বিমান হামলায় সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দিকে ঝুঁকে গেছে। মস্কোর সহায়তার পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলারা এবং ইরানি যোদ্ধারাও আসাদ বাহিনীকে সহায়তা করছে।এদের সমর্থনে সিরীয় সেনাবাহিনী দেশটির পশ্চিম রণাঙ্গণে একের পর এক সাফল্য অর্জন করে চলেছে।

এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, “সিরিয়ার ভূখণ্ডে অভিযান চালানোর লক্ষ্যে তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীগুলো গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিরিয়ায় তুরস্কের এধরনের অভিযানে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটো সদস্য দেশটির সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এদিকে ক্রেমলিনের এ ধরনের মন্তব্যের জবাবে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দপ্তেরের দায়িত্যশীল সুত্র জানিয়েছে “রুশরা সিরিয়ায় করা তাদের অপরাধগুলো ঢাকতে চাইছে।” "ইতোমধ্যেই সিরিয়ার দখলদারী দেশ হিসেবে তারা বেসামরিকদের ওপর চালানো তাদের হামলাগুলো থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত ।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন