নিউজ ডেস্কঃ যৌতুকের টাকা না পেয়ে মাদারীপুরের শিবচরে শান্তা আক্তার নামে এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে ওই গৃহবধূর বাবা সাগর সরদার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ওই গৃহবধূর স্বামী ইমারাত হাওলাদারসহ শ্বশুর বাড়ির পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চার বছর আগে সদর উপজেলার ধুরাইল এলাকার সাগর সরদারের মেয়ে শান্তা আক্তারের সাথে শিবচর উপজেলার মির্জারচর এলাকার দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে ইমারত হাওলাদারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে প্রায়ই শান্তাকে মারধর করতো তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।সবশেষ ১৪ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় শান্তাকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকা জন্য চাপ দিতে থাকে। শান্তা তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার কারায় তাকে মারধর করা হয়।
স্বামীসহ শশুরবাডীর লোকজনের হামলার এক পর্যায় শান্তা লুটিয়ে পড়লে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইমারতের ঘরে থাকা কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে শান্তার মুখে জোরপূর্বক ঢেলে দেওয়া হয়। এসময় শান্তার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে গুরতর অবস্থায় শান্তাকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে শান্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসক। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
মামলার বাদী ও নিহত শান্তার বাবা সাগর সরদার বলেন, ‘সামান্য কিছু যৌতুকের টাকার জন্য আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হল। আমার মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। এমনকি আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলেও প্রচারণা তারা করেছে। কিন্তু আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা আমার মেয়ের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আমি তাদের বিচার চাই।’