আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জৈশ ই মোহাম্মদ নেতা মৌলানা মাসুদ আজহার পাক সরকারের হেফাজতে আছেন বলে জানালেন নওয়াজ শরিফের পররাষ্ট্রনিতী বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ। উল্লেখ্য এই প্রথম মৌলানা মাসুদ আজহারের বিষয়ে মুখ খুললেন শরিফ সরকারের গুরুত্বপূর্ন কোনও কর্মকর্তা ।
এক সাক্ষাৎকারে আজিজ জানিয়েছেন, পঠানকোট হামলায় মূল অভিযুক্ত মাসুদ আজহার গত ১৪ জানুয়ারি থেকেই ‘সুরক্ষার জন্য হেফাজতে’ আছেন। জইশের আরও কয়েক জন সদস্যকেও একই ভাবে হেফাজতে রাখা হয়েছে। পঠানকোট হামলার কিছু দিন পরে পাক পঞ্জাবের আইনমন্ত্রী এই দাবি করেছিলেন। এ বার তা সমর্থন করল শরিফ সরকারও। আজিজের বক্তব্য, ‘‘এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পঠানকোটে হামলাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের কিছু মোবাইল নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে দাবি দিল্লির।
ভারতের পঠানকোট হামলার পরে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ফলে, সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে ওই মোবাইল নম্বরগুলি ইসলামাবাদকে দিয়েছিল দিল্লি। আজিজ স্বীকার করেছেন, পাক পঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতরে ওই মোবাইল নম্বরগুলির মধ্যে একটির নম্বরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার পরেই পঠানকোট নিয়ে নিজেদের দেশে একটি এফআইআর করেছে পাক তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে পঠানকোট বিনানঘাটিতে হামলায় মূল অভিযুক্ত জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য বার বার দাবি জানিয়েছে দিল্লি। পঠানকোটের হামলার তদন্তের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাসও দিয়েছেন শরিফের সরকার। দিল্লির তরফে সাক্ষ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদকে। কিন্তু শরিফ সরকার এখনও মাসুদ বা জইশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেনি বলেই দাবি দিল্লির।
আজিজের বক্তব্যে বরং সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। দিল্লীর সাউথ ব্লক সূত্রের মতে, ‘সুরক্ষার জন্য হেফাজতে’ নেওয়া মাসুদকে বাঁচানোরই নামান্তর। আর মাসুদদের বিরুদ্ধে এখনও পাক সরকার প্রমাণ পায়নি বলে দাবি করেছেন আজিজ। অর্থাৎ দিল্লির দেওয়া সাক্ষ্যপ্রমাণকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না ইসলামাবাদ।
এদিকে পঠানকোট হামলার ব্যাপারে পাকিস্তানে দাখিলকৃত এফআইআর তদন্তের জন্য পাক তদন্তকারী দল মার্চে ভারতে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আজিজ। তাঁর মতে, বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক কবে হবে তা ভারতকেই স্থির করতে হবে।
