আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রাজিল ও আমেরিকাতে জিকা ভাইরাস মহামারি আঁকার ধারন করেছে। ব্রাজিল তো জিকা ভাইরাস মোকাবেলায় রীতিমত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আর আমেরিকা তো মেয়েদের গর্ভধারনে বাঁধা আরোপ করেছে। তুষার ঝড়ে লন্ডভন্ড আমেরিকার সর্বস্তরে শুরু হয়েছে ভাইরাস আতংক।
আমেরিকার ভার্জিনিয়া এবং আরাকানসের স্বাস্থ্য বিভাগ দু’জনের দেহ পরীক্ষা করে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে। এই ভাইরাসটি যাতে যুক্তরাষ্ট্র জুডে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সেইসঙ্গে জিকা ভাইরাস প্রতিশেধক টিকা ও চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণার গতি বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।সম্প্রতি আমেরিকার দুই অধিবাসী সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভ্রমণে গিয়ে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানাগেছে ।
এদিকে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,“রোগ সনাক্তকরণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে গবেষণার পাশাপাশি প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিসহ আমেরিকার সব বাসিন্দাদের জিকা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।”
উল্লেখ্য গত বছর মে মাস থেকে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রদুর্ভাব শুরু হয়েছে।তার পর থেকে দেশটিতে অপরিণত বা ছোট মস্তিষ্কের শিশু জন্ম নেওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এ অবস্থাকে বলা হয়‘মাইক্রোসেফালি’। এতে আক্রান্ত শিশুদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী,শারীরিক বৃদ্ধি বিলম্বিত এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও (WHO) জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ক্যারিবিয়ান, উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার ২১টি দেশে জিকা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাঝারি মাত্রার জ্বর, চোখে প্রদাহ ও মাথাব্যাথা হয়। গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
এডিস মশা জিকা ভাইরাস বিস্তারের জন্য দায়ী। এই মশা ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসও বহন করে।
