News71.com
 Bangladesh
 18 May 16, 11:46 PM
 547           
 0
 18 May 16, 11:46 PM

বাংলাদেশ থেকে এবার রপ্তানি হবে ৯০০ মেট্রিক টন আম।।

বাংলাদেশ থেকে এবার রপ্তানি হবে ৯০০ মেট্রিক টন আম।।

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল আমের প্রথম চালান ইউরোপে পাঠানো হয়েছে। ন্যানো নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এ আম পাঠাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের পরিচালক সৌমেন সাহা জানান, গত মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ৭৮৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছিল। এর মধ্যে ৫২০ মেট্রিক টন আম গিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে। চলতি মৌসুমে ৮০০ থেকে ৯০০ মেট্রিক টন আম ইউরোপসহ বিদেশে রপ্তানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আম রপ্তানি-সংক্রান্ত নীতিমালার আলোকে অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে রপ্তানির এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা চলছে। আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আরও ব্যাপক পরিমাণে আম ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাবে।

এ দেশ থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি ও ক্ষিরসাপাতি জাতের আম রপ্তানি হয়ে থাকে। কিছু কিছু ফজলি আমও বিদেশে যায়। বিদেশে আমাদের আমের কদর রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও বিদেশিদের মাঝেও এ দেশের আমের চাহিদা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচালক (রপ্তানি) মুহা. আনোয়ার হোসেন খান জানান, নীতিমালার আলোকে তৈরি অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করেই বিদেশে আম রপ্তানি করা হচ্ছে। দেশের নিবন্ধিত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদন করে আম ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশে পাঠাচ্ছে।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঈশ্বরদী, নাটোর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা রেজিস্ট্রেশন ফরমের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এসব আম উৎপাদন করেছেন। নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত আম উৎপাদনের সব ক্ষেত্রে জিএপি (গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস) ও এমআরএল (ম্যাক্সিমাম রেজিডিউয়্যাল লেভেল) পরীক্ষা করাসহ নানা সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে।

দেশের ১৩৪টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ন্যানো, মরিসনস এন্টারপ্রাইজ, ইসলাম এন্টারপ্রাইজসহ ৮-১০টি রপ্তানিকারক ইউরোপসহ বিদেশের বাজারে আম রপ্তানি করে থাকে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক এস এম আবু জার বলেন, শিলাবৃষ্টির বিরূপ প্রভাবের পরেও চলতি মৌসুমে দেশে আমের উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। এ মৌসুমে দেশে গত বছরের মতোই প্রায় ২০ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপন্ন হবে।

হর্টিকালচার উইংয়ের উপ-পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম বলেন, চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত প্রায় ১০০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এবার দেশের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। গত মৌসুম অর্থাৎ ২০১৫ সালে দেশের ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩১৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। এতে আম উৎপন্ন হয়েছিল ১৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৪২ মেট্রিক টন।

তিনি আরও জানান, বালাই দমনের জন্য স্প্রে দেওয়ার অন্তত ৪৫ দিন পর গাছ থেকে আম পাড়া হচ্ছে। সাধারণত কীটনাশক দেওয়ার পর সরাসরি ২১ দিন এবং পরে আরও ১০ দিন রেজিডিউয়্যাল ইফেক্ট থাকে। সেখানে ৪৫ দিন পর সংগ্রহের কারণে এখন দেশে যেসব আম পাওয়া যাচ্ছে, তা অনেকটাই নিরাপদ। আমে ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে ঢালাওভাবে এ রকম ধারণা করা অনেক ক্ষেত্রেই উচিত নয়।

সিলগালা করা ছাড়া দেশের কোনো আম ঢাকায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না। সিলগালা ও সনদপত্র ছাড়া কোনো আম এলে তা গাবতলী থেকে নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার অন্যান্য স্থানে আমের নজরদারি কেমন হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই। ঢাকার খামারবাড়িতে অনেক আমের এমআরএল পরীক্ষা করা হয়েছে। একবার এমআরএল পরীক্ষায় ২৯০০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন