দিল্লি সংবাদদাতা : ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে বর্তমানে যতগুলি যুদ্ধবিমান রয়েছে, তাতে একসঙ্গে পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে আকাশপথে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করেছেন বায়ুসেনার এক শীর্ষ কর্তা।
দীর্ঘদিন ধরেই ‘ফ্লিট ডেপলিশন’ বা যুদ্ধবিমানের সংখ্যার ঘাটতি নিয়ে জর্জরিত বায়ুসেনা। ৪২টি স্কোয়াড্রনের জায়গায় এই মুহূর্তে বায়ুসেনার হাতে রয়েছে মাত্র ৩৩টি স্কোয়াড্রন। ইউপিএ সরকারের আমল থেকেই বিভিন্ন জটিলতায় যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টি আটকে রয়েছে।
যার মধ্যে ছিল এমএমআরিসএ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের সঙ্গে ১২৬টি রাফালে কেনার বিষয়টিও। পালাবদলের পর মোদী সরকার এসে সরাসরি দুদেশের সরকারের চুক্তির মাধ্যমে ৩৬টি রাফালেকে ‘ফ্লাই-অ্যাওয়ে’ বা ব্যবহারের জন্য তৈরি অবস্থায় নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যদিও, সেটিও এখনও দুপক্ষের মধ্যে দর-কষাকষি চলছে।
এদিন বায়ুসেনার উপ-প্রধান এয়ার মার্শাল বি এস ধানোয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, দেশের দুপ্রান্তে একযোগে মোকাবিলা করার মতো বায়ু-সংখ্যা নেই। স্কোয়াড্রনের সংখ্যা দ্রুত কমছে। ধানোয়া জানান যে, নিকট ভবিষ্যতে দুদিকে (পাকিস্তান ও চিন) একসঙ্গে যুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনা কম। তবুও, তিনি যোগ করেন, আমাদের সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।
তিনি দাবি করেন, শুধু রাফালে নয়, ভারতের উচিত দ্রুত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের বিষয়টিও চূড়ান্ত করা। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান গবেষণা চালচ্ছে ভারত। কিন্তু, তা নিয়েও ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ধানোয়া যোগ করেন, আগামী দশ বছরে ভারতের অন্তত ৪০০টি যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ফাঁকা জায়গা ভরাট করবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস। তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ১২০টি তেজস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২২-২৩ সালের মধ্যে সেগুলির হস্তান্তর সম্পূর্ণ হবে।