আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এদিন পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি-সি৩২) রকেটে চেপে বিকেল ৪টে নাগাদ চেন্নাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড থেকে যাত্রা শুরু করে দেশের সর্বাধুনিক আইআরএনএসএস-১এফ। প্রায় ২০ মিনিট পর উপগ্রহটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপিত হয়।এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, স্পেস ডেবরিজ বা মহাকাশে ভাসমান বিভিন্ন উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ এড়াতে উৎক্ষেপণের সময় এক মিনিট বিলম্ব করা হয়।
মার্কিন জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) প্রযুক্তির উত্তরে ভারত নিজস্ব নেভিগেশন-সিস্টেম তৈরি করতে উদ্যত হয়। গোটা প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি সম্পূর্ণ করতে মোট সাতটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর কথা। এদিন ষষ্ঠ উপগ্রহকে পাঠানো হল। এর আগের পাঁচটি স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে রয়েছে। প্রথম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ২০১৩ সালের জুলাই মাসে। পঞ্চমটি উৎক্ষেপণ হয় গত জানুয়ারি মাসে।
এই সিরিজের আরও একটি উপগ্রহ (আইআরএনএসএস-১জি)-কে পাঠানো বাকি। ইসরো সূত্রে খবর, আগামী মাসেই সম্ভবত সাত নম্বর উপগ্রহও মহাকাশের পথে রওনা দেবে। আর তা হয়ে গেলেই মার্কিন জিপিএস-এর সমতুল্য হয়ে উঠবে ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম, যার পোশাকি নাম ইন্ডিয়ান রিজিওনাল নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেম (আইআরএনএসএস)। বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশেরই নিজস্ব নেভিগেশন পদ্ধতি রয়েছে।
এদিনের সফল উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর সকল বিজ্ঞানীদের সাধুবাদ জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে মোদী লেখেন, এই সাফল্যের জন্য সকলেই গর্বিত। উপগ্রহ-যাত্রার (মিশন) ডিরেক্টর বি জয়কুমার জানান, নেভিগেশন সিস্টেমের স্বয়ংসম্পূর্ণতা পৌঁছানো থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে ভারত। অন্যদিকে, বিক্রম সারাভাই স্পেস স্টেশনের অধিকর্তা বি সিভান জানান, খুব শীঘ্রই ভারতের বাটিতে তৈরি সবচেয়ে বড় ও ভারি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হতে চলেছে। তিনি বলেন, এর জন্য অত্যাধুনিক জিএসএলভি মার্ক থ্রি-ডি১ রকেট প্রায় তৈরি।
উল্লেখ্য , এদিনের উৎক্ষেপণ ধরে টানা ৩৩ বার সফল অভিযান করল পিএসএলভি।