News71.com
 International
 13 Mar 16, 07:46 AM
 1027           
 0
 13 Mar 16, 07:46 AM

যুদ্ধের পর বেতনের পরিবর্তে পুরস্কার স্বরুপ মিলল লুটপাট ও ধর্ষনের অনুমতি ।

যুদ্ধের পর বেতনের পরিবর্তে পুরস্কার স্বরুপ মিলল লুটপাট ও ধর্ষনের অনুমতি ।

নিউজ ডেস্ক : দক্ষিণ সুদানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সরকারি বাহিনীকে সহযোগিতার 'পুরস্কার’ হিসেবে একটি মিলিশিয়া বাহিনীকে বাড়তি বেতন ও সুযোগ সুবিধার পরিবর্তে লুটপাট ও ধর্ষণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ কথাই বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, গত বছর ১ হাজার ৩০০ জন নারী ওই বাহিনী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনী ওই মিলিশিয়া বাহিনীকে ‘বেতন’ এর পরিবর্তে এই ‘পুরস্কার’ দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

মিলিশিয়ারা সাধারণ মানুষের সম্পত্তি দখল করছে এবং গবাদিপশু নিয়ে যাচ্ছে বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হচ্ছে, দেশটির সেনাবাহিনী তাদের মিত্র মিলিশিয়া বাহিনীর সঙ্গে ‘যা ইচ্ছা করো এবং যা ইচ্ছা নিয়ে নাও’ চুক্তি করেছে।

এ কারণে গত বছর দেশটির একটি রাজ্যেই অন্তত ১ হাজার ৩০০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হচ্ছে, মিলিশিয়ার পাশাপাশি সেনাবাহিনীও বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও ধর্ষণের মতো অপরাধে লিপ্ত রয়েছে। তবে দক্ষিণ সুদানের সরকার জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের মুখপাত্র আতেং ওয়েক আতেং বলেছেন, ‘সরকারের হয়ে লড়ছে এমন কোনো মিলিশিয়া বাহিনী নেই’। তবে তিনি জানিয়েছেন ধর্ষণের মতো অপরাধ নিয়ে ‘অভিযোগের মাত্রা ব্যাপক’ হওয়ায় সরকার ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সরকারবিরোধী উপাদান রয়েছে অভিযোগ করে আতেং বলেন, দক্ষিণ সুদানের সেনারা কেবল উর্দি পরা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধেই লড়ছে, বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে না।

অন্য এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ সুদানের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে ‘শ্বাসরোধে’ হত্যার অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই ৬০ জনের সবাই পুরুষ এবং এদের মধ্যে কিশোরও ছিল।

গত ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট সালভা কির অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা’র অভিযোগে তাঁর ডেপুটি রিয়েক মাচারকে বরখাস্ত করেন এবং এরপরই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।
গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও ছিল জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। গত বছর জাতিসংঘের মধ্যেস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। তবে চুক্তির পরও অন্তবর্তী কিংবা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে কোনো তৎপরতা এখনও দেখা যায়নি।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন