সোহাগ সরকার ,কলকাতা : ‘‘আজ যেমন করে গাইছে আকাশ তেমনি করে গাও গো, আজ যেমন করে চাইছে আকাশ তেমনি করে চাও গো—’’।বসন্তের আগমন উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেল ৪ টা থেকে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।অনুষ্ঠানটি রবীন্দ্র ভরতীর মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্টান শুরু হওয়ার আগে ,বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছাত্র/ছাত্রী বৃন্দ,নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য সহ তানার সকল সহ কর্মীকে।উপচার্য স্যার তানার কার্যালয় থেকে বের হয়ে রবীন্দ্র ভারতী গেটের সামনে দন্ডায়মান মূর্তি রবি ঠাকুরের পায়ে পুষ্প অরপন করেন।তার পর তিনি বসন্ত উৎসবে যোগদান করেন।
এ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র ভারতীর তিন" ডিন "মহোদয় ।প্রথমেই বক্তৃতা প্রদান করেন সারা বাংলা তৃনমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতি,রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারন সম্পাদক বাবু সুশান্ত চক্রবর্তী ,কনিষ্ঠ অবেক্ষক ।তিনি বলেন সর্বোউচ্চ এলিএড প্রাপ্ত রবীন্দ্র ভারতীর প্রাক সদরস্য । যারা এই মোনজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন চারুকলা অনুষদ এবং তৃনমূল ছাত্র পরিষদ কে জানাই আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ ।তার পরেই বক্তব্য প্রদান করেন কলকাতা কর্পারেশনের ২ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা শ্রীমতি পুষ্পালি সিনহা।
তিনি বলেন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ব্যাক্তি ,গল্প ,কবিতা ,নাটক,উপন্যাস,ছড়িয়েরয়েছে সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে।আজকে রবীন্দ্র ভরতীতে এসে যে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখছি তা কখনো দেখা হয় নি।তিনি বলেন এখানে এসে আমার প্রচন্ড ভালে লাগছে ।রবীন্দ্রনাথ চলে গেছেন বহু বছর আগে কিন্তু তার সংস্কৃতিকে যেভাবে রবীন্দ্র ভারতী ছাত্র /ছাত্রী ধরে রেখেছন তা সত্যি অত্যান্ত প্রশংসানিও।তা আমি মুখের ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন সবাইকে বসন্তের রঙ্গিন ভালোবাসা দিয়ে ।তারপর বক্তব্য দেন রবীন্দ্র ভরতীর উপচার্য সব্য সচী রায় চৌধুরী।তিনি বক্তব্যের শুরু তে বলেন "আজকে ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।"রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে তার চিরাচরিত রীতি মনে আজকে বসন্ত উৎসবের দ্বিতীয় পরযায়। যে পরযায় টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে করছি।আশা করি অনুষ্ঠান আপনাদের ভালো লাগবে ।এটি কবি গুরুর প্রাওনিক ৭৫ তম বর্ষ ।বসন্ত হচ্ছে নব নবীনের আবাহন ।বসন্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে মাধ্যমেই রবীন্দ্র ভারতীর নতুন প্রজন্মকেও স্বাগত জানাচ্ছি ।
তার একটু পরেই সবাই মেতে উঠে আবির(রং ) খেলায়।সমস্ত আকাশ যেনো ক্ষনিকের জন্য রঙ্গিনময় হয়ে উঠেছিলো ।আকাশের সমস্ত পাখি গুলো জানা মেলে চিৎকার করে বসন্ত উৎসব কে স্বাগত জানাচ্ছিলো ।রং তে সবার মুখ রঙ্গিন হয়ে ছিলো ।সবাই তার তার পরিচিত মানুষকে রং মাখিয়ে নতুনত্বের ছোয়া এনে দিয়েছে ।
সর্বপরি এই বসন্ত উৎসবের সকল আয়োজন,কষ্ট ,আনন্দ ,উল্লাস ও কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা শেষ হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে সাত'তার সময় ।এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন ,রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃনমূল ছাত্র পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি বিশ্বজিত দে( বাপ্পা )।এ অনুষ্ঠানের সকল কার্যে তিনি সবার প্রথমে ছিলেন।এতো সুন্দর এবং বৃহৎ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নেতৃত্ব তিনি দিয়েছে তা কল্পনা অতীত ।অবশ্য একার দ্বারা সকল কিছু আয়োজন করা সম্ভব ছিল না।তৃনমূল ছাত্র পরিষদের অন্যান্য সদরস্য রাও সেক্রেটারির আদেশ অক্ষরে অক্ষরে নিজ দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।বিশ্বজিত দে সকল অনুসারীরগণ ,স্বপ্নদীপ তালুকদার(তৃনমূল ছাত্র পরিষদের ভাইস প্রসিডেন্ট ),দীপু সাঁতরা ,অর্ধেন্দু কুন্ডু,সজল সরকার ,রাকিব হোসাইন, অনুপম ,বিক্রম আরো অনেকে।তারা সবাই আজকের বসন্ত উৎসবকে করে তুলেছে সফল্যমন্ডিত।