আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে গতকাল রবিবার রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়েছে। কংগ্রেসের নয়জন বিধায়ক বিদ্রোহ করার ফলে এখানে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। গত শনিবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতির শাসনের সুপারিশ করে। গতকাল তাতে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
আজ সোমবার উত্তরাখন্ডের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের আস্থা ভোট ছিল। রাষ্ট্রপতির শাসন জারির আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির ‘হুমকি দেওয়ার’ অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হলে তা হবে গণতন্ত্রকে হত্যার শামিল। সংসদীয় গণতন্ত্রে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
এই মাসের শুরুতে উত্তরাখন্ডের কংগ্রেস দলের নয়জন বিধায়ক হরিশ রাওয়াতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে রাজ্যটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ নেতারা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারের বিরোধিতা করায় স্পিকার তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ওই নোটিশের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট গত শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে বলেন, নোটিশ দেওয়ার অধিকার বিধানসভার স্পিকারের আছে। শনিবার স্পিকার তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করেন ।
নয়জন বিধায়ক দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ৭০ সদস্যের বিধানসভার সদস্যসংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে। কংগ্রেসের আছে ২৭ সদস্য। প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টির ৬ বিধায়কের সমর্থন আছে রাওয়াতের ওপর। সব মিলিয়ে ৩৩ সদস্যের সমর্থন পেত সেই সরকার। আস্থা ভোটে বিজয়ী হওয়ার জন্য এটি যথেষ্ট ছিল। এই রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির সদস্যসংখ্যা ২৮।
উত্তরাখন্ডে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করায় এর তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা বলেছেন, এটি অসাংবিধানিক। সংবিধান যে নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত এর সবকিছু ধ্বংস করছে বিজেপি।