আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে আজ কলকাতায় নেমেই কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধী জোড়াসাঁকোতে গনেশ টকিজের কাছে যেখানে ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়েছে সেই দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। কথা বলেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গে। তারপর সোজা চলে যান কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেখানে ভর্তি রয়েছেন দুর্ঘটনায় আহত অনেকে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে দেখা করে সব রকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার সময় রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কনভয় রবীন্দ্র সরণি হয়ে গণেশ টকিজ ক্রসিংয়ে পৌঁছায় ব্যাপক পুলিশি পাহারায় । ভেঙে পড়া পি-৪০ পিলারের ঠিক সামনে চলে যান তিনি। সেখানে কর্মরত ন্যাশনাল ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি পরিস্থিতি জেনে নেন। কথা বলেন দমকল কর্মীদের সঙ্গেও। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী, দীপা দাশমুন্সি, শুভঙ্কর সরকার, সন্তোষ পাঠক প্রমুখ। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর রাহুল রওনা দেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছে প্রথমেই ইমার্জেন্সি বিভাগে পৌঁছান রাহুল। সেখানে যে ৯জন ভর্তি রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে অন্য আহতদের খোঁজখবর নেন। এরপরই তিনি নির্বাচনী সমাবেশের উদ্দেশ্যে বর্ধমানের কুলটি ও দুর্গপরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তার দুটি জনসভায় উপস্থিত হওয়ার কথা ।
এদিকে কলকাতা পুলিশ ২৩ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। গত শুক্রবারই খুনের অভিযোগে মামলা করে ফ্লাইওভার বিপর্যয়ের ঘটনায় নির্মাণকারী সংস্থা আইভিআরসিএলের তিন কর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। এই তিনজনই বিবেকানন্দ রোড ফ্লাইওভারের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। পুলিশ বলেছেন, সংস্থাটির কলকাতার প্রধান পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে আইভিআরসিএল-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুধীর রেড্ডি-সহ শীর্ষকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। হায়দরাবাদে সংস্থার সদর দপ্তরে গিয়ে নোটিস ধরিয়ে দিয়ে এসেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। ওখান থেকে সংস্থাটির এই প্রকল্প সংক্রান্ত কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।