আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুর্কমেনিস্তানে বিয়ের আগে পাত্রপাত্রীর রক্তে এইডস সৃষ্টিকারী ভাইরাস এইচআইভি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করে আইন করা হয়েছে। বুধবার দেশটির এক প্রচার মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মধ্য এশিয়ার এ দেশটিতে এইচআইভি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মানুষের ভিতরে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা স¤পর্কে রয়েছে যথেষ্ট অজ্ঞতা।
এ আইনটি তুর্কমেনিস্তানের ৫০ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতনার অধীনে নিয়ে আসবে। গোপনীয়তা রক্ষা করে এর ভয়াবহতা ও জীবন ঝুঁকির স¤পর্কে সতেন করবে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় পুরো অংশই এইডস ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নতুন আইনটির উদ্দেশ্য হল নিঃরোগ এবং সুস্থ্যের পরিবার গঠন করা ও এইডস আক্রান্ত হয়ে শিশুর জন্ম প্রতিরোধ করা।
আইনটি শুধু ঘোষণাই করা হয়নি এটা দ্রুত বাস্তবায়নও করা হবে। দেশটির এইডস সেন্টারের একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন আইনটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ দেশটি এইডস ব্যাপকভাবে ছড়ানোর প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে অবাধে মাদক প্রবেশের কারণে মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাদক সেবন ও নিষিদ্ধ পল্লীতে যাতায়াতের কারণে এইডস ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে। তাছাড়া রক্তের পরীক্ষা না করে বিয়ের মাধ্যমেও মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। নতুন আইনের অধীনে রাখা হয়েছে রক্ত দানকারী, মাদক সেবী, হাজতি, বিদেশী নাগরিক ও নাগরিকত্ববিহীন ব্যক্তিদের। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বারদিমুখামেদভ আইনটিতে সই করেছেন। সরকার জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং এইসআইভি আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছে।