আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটির পর বারাসতের ঘটনা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বারাসত পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৃণমূলের অরুণ ভৌমিকের নেতৃত্বে ৫জন দুষ্কৃতী সি পি আই(এম)-র প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রবি চ্যাটার্জীর বাড়ি আক্রমণ করে। গেট ভেঙে বাড়ির ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। ভাঙচুর করে জানলা ও দরজা। নিচের দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা করে। কিন্তু বাড়ির লোকের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোক বেরিয়ে পড়লে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে হুমকি দেয়। রবি চ্যাটার্জীর অপরাধ ছিল স্ট্রিং অপারেশনের পোস্টার এলাকায় মেরেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার থানায় তৃণমূলের অরুণ ভৌমিকসহ ৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জীর । এর প্রতিবাদে সন্ধ্যায় মিছিল হয়।
এদিন বারাসত শাষনের আমিনপুর বাজারে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হাজার হাজার বিঘার চাষ জমির মাটি বিক্রি রুখে দিয়েছেন গ্রামের মানুষ।গত বুধবার সকালে মাটি ভর্তি লরি অটো রিকশাকে ধাক্কা মারলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আহত হন অটোর ৪জন যাত্রী। আহতদের ক্ষতিপূরণ এবং মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে এদিন আমিনপুর-কাচকল রোড অবরোধ করেন এলাকার মানুষ। অবরোধকারীদের আরো দাবি, কয়েকদিন আগে মাটি ভর্তি লরির ধাক্কায় প্রাণ হারান সৈয়দ আলি । ক্ষতিপূরণ পাননি। কারণ, গাড়ির কোনও কাগজপত্র ছিল না।
এদিন অবরোধ চলাকালীন তৃণমূলের ফলতি বেলিয়াঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোয়ার আলি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মেহেদি হাসান, সিরাজ আলিসহ অনান্যরা এসে চাপ সৃষ্টি করেন অবরোধ তোলার। কিন্তু গ্রামের মানুষ সম্মিলিত প্রতিবাদ করলে তৃণমূলীরা চলে যায়। পরে পুলিশের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কি হয়। কিন্তু অবরোধকারীর দাবি ছিল মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে,বেআইনি গাড়ি চালানো যাবে না। পুলিশ মৃত সৈয়দ আলির ছেলে পার্টি নেতা মুসারফ আলিকে থানায় নিয়ে যায় আলোচনার জন্য। এরপর পুলিশ পাকদা মৌজায় মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়। অবরোধ উঠে যায়।
তৃণমূল দুষ্কৃতীরা পার্টিনেতা মোসারফ আলির বাড়ি অস্ত্রসহ পৌঁছায় তাকে খুন করার জন্য। গ্রামের মানুষ খবর পেয়ে রুখে দাঁড়ালে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ২জনকে গ্রামবাসীরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
গ্রামের মানুষ জানান ,বহুদিন পর শাসনের মানুষ মাটি কাটার প্রতিবাদ করে এবং পুলিশের সহযোগিতায় কাজ বন্ধ করে দেয়।
বনগাঁর চৌবেরিযায় দিনমজুর কমল বাগচি এদিন খুন হয়েছেন তৃণমূলীদের হাতে। তৃণমুলীদের চোর বলায় তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলের সরোজ (বিজন) রায়, সমর রায়, পূর্ণেন্দু রায়, শ্রীপতি পোদ্দারসহ অনান্যরা। নিহত কমল বাগচীর বাড়ি বনগাঁর চৌবেরিয়া পশ্চিমপাড়ায়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অলোক নন্দীর অনুগত।