আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বাংলাদেশ থেকে নারী ও শিশুদের ব্যাপক পাচার দমন করার পথ খুঁজে বের করতে কাজ করছে ভারত। গতকাল দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলের মেঘালয় রাজ্যে এক সম্মেলনে ভারতের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মনেকা গান্ধী এ কথা বলেন। একই সঙ্গে প্রতিবেশি নেপাল ও পাকিস্তান থেকে ভারতে নারী ও শিশু পাচার ঠেকানোর কাজ চলছে ।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থার তথ্য মতে, পূর্ব এশিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অঞ্চল দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ভারতে সবচেয়ে বেশি পাচারের ঘটনা ঘটছে ।
মনেকা গান্ধী বলেন, মানব পাচার ঠেকাতে ভারত সরকারের সিরিজ নীতিমালা তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। গত মাসে আমরা এসব দেশের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি, এতে বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানের বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা যারা এ বিষয়ে কাজ করে তারাও অংশ নিয়েছিল । আগামী সপ্তাহে ভারতে আরও একটি বৈঠক হবে। আমরা কী করতে পারি সে বিষয়ে একে অপরকে বলছি। চলতি মাসেই আমরা এর নির্দিষ্ট সমাধান দেখতে যাচ্ছি ।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর মতে, ২০১৪ সালে ভারতে ৫ হাজার ৪৪৬টি মানব-পাচারের ঘটনা নিবন্ধন করা হয়েছে। গত ৫ বছরের চেয়ে যা ৯০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মানবপাচার সমস্যা তুলে ধরতে এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট নয়। আড়ালে আরও বেশি এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তারা বলছেন, প্রত্যেক বছর দরিদ্র ও গ্রামীণ অঞ্চলের হাজার নারী ও শিশুকে ভারতে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাচার করা হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে এসব নারী ও শিশুকে গৃহকর্মী, যৌনকর্মী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে এসব নারী ও শিশুকে যথাযথ অর্থও পরিশোধ করা হয় না। অনেকেই নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যরা অনেক সময় কোনো খোঁজ পান না ।