News71.com
 International
 29 Apr 16, 11:38 AM
 688           
 0
 29 Apr 16, 11:38 AM

বৈশ্বিক নাগরিকত্ব প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।।

বৈশ্বিক নাগরিকত্ব প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।।

নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে মানুষ ক্রমেই বেশি করে নিজেকে বিশেষ কোনো দেশের নাগরিকের চেয়ে ‘বিশ্ব নাগরিক’ ভাবছে। এ প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষণীয় উদীয়মান অর্থনীতির দেশে। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে ।


জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোবস্ক্যান ১৮টি দেশের ২০ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে এ জরিপ পরিচালনা করে। এতে প্রশ্ন করা হলে উদীয়মান অর্থনীতির দেশের অর্ধেকের বেশি (৫৬ শতাংশ) মানুষ বলেন, বিশেষ কোনো দেশের চেয়ে তাঁরা আগে নিজেকে বিশ্ব নাগরিক ভাবেন।
ওই জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, নাইজেরিয়ার ৭৩, চীনের ৭১, পেরুর ৭০ ও ভারতের ৬৭ শতাংশ মানুষ নিজেকে বিশ্ব নাগরিক ভেবে থাকেন।

তবে শিল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রবণতা ভিন্নমুখী। ২০০৮ সালের আর্থিক ধসের পর ধনী দেশগুলোতে বিশ্ব নাগরিকত্বের ধারণা প্রচণ্ডভাবে নাড়া খায়। যেমন জার্মানিতে মাত্র ৩০ শতাংশ লোক নিজেকে বিশ্ব নাগরিক ভাবেন। ১৫ বছর আগে এই জরিপ শুরুর তুলনায় এ অনুপাত সর্বনিম্ন।


জরিপে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ের ভাবনার প্রশ্নে স্পেনের ৯১, যুক্তরাজ্যের ৮৬ ও ফ্রান্সের ৭৯ শতাংশ নাগরিক সমর্থন জানান। অন্যদিকে রাশিয়া ও জার্মানির যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৪ শতাংশ মানুষ তা সমর্থন করেন। সিরীয় উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করার প্রশ্নেও সবচেয়ে বেশি সমর্থন দেন স্পেনের লোকেরাই, ৮৪ শতাংশ। এ বিষয়ে সমর্থনের হার কানাডায় ৭৭, যুক্তরাজ্যে ৭২, ফ্রান্সে ৫৮, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫, জার্মানিতে ৫৪ ও রাশিয়ায় ১১ শতাংশ।


অন্যদিকে জাতীয় নাগরিকত্বের ধারণা সর্বনিম্ন ইন্দোনেশিয়ায় (৪ শতাংশ)। পাকিস্তানিরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি (৪৩ শতাংশ) ধর্ম দিয়ে ব্যক্তিগত পরিচয় শনাক্ত করে থাকেন। আর উত্তরদাতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ ও ইউরোপীয় দেশের ৫ শতাংশ লোক এমনটা বলেন।

জরিপে বৈশ্বিক নাগরিকত্বের ধারণাটি সংজ্ঞায়িত করাই ছিল কঠিন। তাই উত্তরদাতাদের জন্যই তা উন্মুক্ত রাখা হয়। উত্তরদাতাদের অনেকের মতে, বিশ্বজুড়ে নিজের আর্থিক প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে তা যুক্ত। অন্য কারও কারও কাছে জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা উন্নয়নশীল বিশ্বের অসমতার মতো ইস্যুতে একাত্মবোধ থেকে সমাধানের কল্যাণকর প্রবণতাই বিশ্ব নাগরিকত্ব বোধ। সম্প্রসারিত আন্তযোগাযোগের এ যুগে যোগাযোগের স্বাধীনতা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলার অধিকার থাকা এবং অভিবাসন ও গতিময়তার সঙ্গেও বৈশ্বিক নাগরিকত্বের ভাবনা সম্পর্কিত।


বিশ্ববাসী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বর্তমানেই সবচেয়ে বেশি বৈশ্বিক গতিশীলতা ও অভিবাসন প্রত্যক্ষ করছে। তা কেবল যুদ্ধ ও সংঘাতের কারণেই নয়। এর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সামগ্রিকভাবে আরও সমৃদ্ধিশালী হওয়া এবং বিমান ভ্রমণের জন্য উঠতি মধ্যবিত্ত শ্রেণির সামর্থ্যবান হয়ে ওঠা ।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন