কলকাতা সংবাদদাতা : ষষ্ঠ দফায় ভোট গ্রহণের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। আগের পাঁচ দফার মতো এই শেষ দফার নির্বাচনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ভারতের নির্বাচন কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং দলটির নেত্রী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসানি অব্যাহত আছে। বিরোধীরা আশঙ্কা করেছে, এ দফায় ভোট কারচুপির জোর চেষ্টা করবে তৃণমূল।
কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি আসলে আজ নির্বাচন হবে । এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসন আর কোচবিহার জেলার রয়েছে ৯টি আসন। এসব আসনে প্রার্থী ১৭০ জন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এই দুই জেলায় ৩৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ১২ হাজার পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৪৯২ এবং কোচবিহার থেকে ৪০৪ জন সমাজবিরোধীকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্বাচনের আগের দফাগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি এবং সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের কড়াকড়িতে নাখোশ তৃণমূল। এতে অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত রোববার হুমকি দিয়েছেন পুলিশকে। বলেছেন, যেসব পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে ভোটে সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের তিনি ‘দেখিয়ে’ দেবেন। বলেছেন, নির্বাচনের পর ওই সব ‘ভিতু পুলিশদের’ তিনি ‘দেখে’ নেবেন।
বিরোধী দল সিপিএম অভিযোগ করেছে, গত সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরে স্থানীয় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ছয় থানার ওসিকে নিয়ে গভীর রাতে এক গোপন বৈঠক করেন একটি কলেজে। এরপরই বাম-কংগ্রেস জোট ওই ছয় থানার ওসিকে অপসারণ করার দাবি তুলেছে। সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এই নিয়ে লিখিত আবেদনও করেছেন নির্বাচন কমিশনে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সবং থানার ওসিকে প্রত্যাহার করাহয়েছে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ।
বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে, শেষ দফার নির্বাচনে শাসক দল শেষ কামড় দেওয়ার চেষ্টার ত্রুটি করবে না। তারা বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোট লুট করার চেষ্টাও চালাতে পারে।