News71.com
 International
 30 May 16, 11:46 AM
 561           
 0
 30 May 16, 11:46 AM

বিশ্বের দীর্ঘ এবং গভীরতম সুড়ঙ্গ রেলপথ সুইজারল্যান্ডে

বিশ্বের দীর্ঘ এবং গভীরতম সুড়ঙ্গ রেলপথ সুইজারল্যান্ডে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। কাজ করেছেন প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন শ্রমিক। অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম এবং গভীরতম সুড়ঙ্গ রেলপথ বা টানেলের নির্মাণ কাজ। প্রকৌশলবিদ্যার এই বিস্ময়কর অর্জনের গৌরব সুইজারল্যান্ডের। দেশটিতে আগামী বুধবার উদ্বোধন হচ্ছে ৫৭ কিলোমিটার লম্বা ওই সুড়ঙ্গ রেলপথের ।

আল্পস পর্বতমালায় নির্মিত এই টানেলের ভেতর দিয়ে দিনে ৩২৫টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করবে। প্রতিটি ট্রেন ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার বেগে মাত্র ২০ মিনিটে ওই সুড়ঙ্গপথ অতিক্রম করবে। গথার্ড বেস টানেল নামের এ রেলপথের কয়েকটি অংশের অবস্থান আল্পসের চূড়া থেকে সোয়া দুই কিলোমিটার নিচে।

গভীরতার হিসাবে এটি বিশ্ব রেকর্ড। এত দিন বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গপথের রেকর্ডটি ছিল জাপানের সেইকান টানেলের, যার দৈর্ঘ্য গথার্ড বেসের চেয়ে অনেক কম।

ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে মানুষের যাতায়াতের ধরন পাল্টে দেবে সুইজারল্যান্ডের নতুন এই টানেলটি। ৭ হাজার ফুট উঁচু গথার্ড পর্বতের ভেতর দিয়ে এটি বানাতে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টন পাথর খুঁড়ে বের করতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে সুইস প্রকৌশলী কার্ল এদুয়ার্দ গ্রুনে প্রথম এ টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা দিয়েছিলেন। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের অর্থায়ন নিয়ে ১৯৯৮ সালে ভোটাভুটি হয়েছিল। তখন ৬৪ শতাংশ সুইস ভোটার এ প্রকল্পের পক্ষে সমর্থন দেন।

নতুন টানেলের ভেতর দিয়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে ইতালির মিলান শহরে পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে এ রেলপথে ভ্রমণে এখনকার চেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা সময় বাঁচবে। কমবে পরিবেশদূষণও। সুইস রেলওয়ে বিভাগ বলছে, ‘টানেলটি নির্মাণের ফলে তাদের যাত্রীসংখ্যা প্রতিদিন ৯ হাজার থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ১৫ হাজারে পৌঁছতে পারে’।

বুধবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এবং সুইস কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। নতুন টানেলটি পুরোদমে চালু হবে এ বছরের ডিসেম্বরে।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন