আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত ওই কিশোরীর বাবা-মা।
ডালাস থেকে পোর্টল্যান্ড যাওয়ার জন্য একাই উঠেছিল ওই কিশোরী। মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবে, ভাড়ার চেয়ে ১৫০ ডলার বেশি দিয়ে পাশের আসনটি ফাঁকা রাখার ব্যবস্থা করলেও যৌন হয়রানি এড়াতে পারেনি সে। একই বিমানে যাত্রা করছিলেন চ্যাড ক্যামেরন ক্যাম্প নামের ২৬ বছরের এক যুবক। বিমানে ওঠার আগে পছন্দসই বসার জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। মেয়েটিকে একা পেয়ে পরে তা বদলান। বিমানে বেশি লোকজন না থাকায় মেয়েটিকে হেনস্থা করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে বিমান সেবিকার হস্তক্ষেপে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবককে। বিমান সেবিকার সহায়তা পেলেও ওই বিমান সংস্থাকে আদালত পর্যন্ত টেনে আনতে উদ্যত হয়েছেন মেয়েটির বাবা–মা। নির্যাতিত কিশোরীর বাবা-মায়ের দাবি, ‘মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়তি খরচ করে পাশের আসনটি ফাঁকা রাখতে বলেছিলাম। তাঁরা জানান, গোটা ঘটনার গভীর প্রভাব পড়েছে মেয়েটির মনে। আর কখনো বিমানে না চড়ার শপথ নিয়েছে সে। তার চিকিৎসা চলছে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সে এর আগেও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালে একা থাকা এক বিমানযাত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল এক পাইলটের বিরুদ্ধে। ১৯৯০ সালে ৯ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি শিশুও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিল। তবে এবারের ঘটনাটি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।