News71.com
 Bangladesh
 11 Apr 16, 06:23 AM
 475           
 0
 11 Apr 16, 06:23 AM

১০ বছরের জন্য কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করেছেন রিহ্যাব ।।

১০ বছরের জন্য কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করেছেন রিহ্যাব ।।

নিউজ ডেস্কঃ আবাসন খাতে কোনো শর্ত ছাড়া অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। তারা আসছে বাজেটে আগামী ১০ বছরের জন্য এই সুবিধা দাবি করেছেন। এ ছাড়া এই অর্থ নিয়ে প্রশ্ন থাকার কারণে আবাসন খাতে বিনিয়োগে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে সংগঠনটি ।

গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে আবাসন শিল্প রক্ষার্থে ‘আসন্ন জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭’ এ রিহ্যাবের দাবি ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এ দাবি করেন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবিউল হক, সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, প্রকৌশলী সরদার মো. আমিন প্রমুখ । রিহ্যাব সভাপতি বলেন, অর্থ পাচার রোধে কোনো শর্তছাড়া আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করা প্রয়োজন। আগামী ১০ বছরের জন্য এ নীতি গ্রহণ করলে দেশে বিশাল উন্নয়ন সম্ভব। আমরা চাই, কালো টাকার উৎস বন্ধ করুক সরকার। কিন্তু ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১০ বছরের জন্য কোনো প্রশ্ন না করুক। আলমগীর শামসুল আলামিন আরও বলেন, প্রবাসীদের দেশে ফেরা, ব্যাংকের উচ্চ সুদ হার, নতুন জমি সংকট, নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্য, নতুন গ্যাস সংযোগ সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে আবাসন খাতের বিক্রি ৮০ শতাংশ কমেছে এবং উদ্যোক্তাদের নতুন প্রকল্প গ্রহণের হার কমেছে ৯০ শতাংশ ।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা পতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াক ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই)-এর প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আমদানি-রপ্তানির সময় পণ্যের প্রকৃত মূল্য গোপন করার মাধ্যমেই সব থেকে বেশি অর্থ পাচার করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ২০১৩ সালে ৯৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৭৬ হাজার ৩৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পাচার হওয়া এই অর্থ আগের বছরের তুলনায় ৩৩.৭৯ শতাংশ বেশি। এই অর্থ পাচার রোধে কোনো শর্তছাড়া আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন রিহ্যাব সভাপতি । তিনি বলেন, বর্তমানে ফ্ল্যাট ও প্লট নিবন্ধনের সময় ১৪% কর ও ফি দিতে হয়। এর মধ্যে ৪% করে গেইন ট্যাক্স, স্ট্যাম্প ফি ৩%, নিবন্ধন ফি ২%, স্থানীয় সরকার কর ২% ও ৩% মূল্যসংযোজন কর (মূসক) দিতে হয়। এই অত্যধিক ব্যয়ে ক্রেতারা নিবন্ধনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এমন বিবেচনায় সংগঠনটির প্রস্তাব, সব মিলিয়ে নিবন্ধন সংশ্লিষ্ট কর ও ফি ৭% করা হোক। এর মধ্যে ২% গেইন ট্যাক্স, স্ট্যাম্প ফি ১.৫% ও মূসক ১.৫%, নিবন্ধন ফি ১% ও স্থানীয় সরকার কর ১%। আসছে বাজেটে পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণে কর রেয়াত সুবিধা চায় রিহ্যাব। এমন সুযোগ দিলে উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব প্রকল্প নিয়ে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন সংগঠনটির নেতারা। আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, শহর এলাকায় ৫ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে এবং শহরের বাইরে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে প্রচলন করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্বল্প আয়ের ও মধ্যবিত্তদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন-পূর্বক সিঙ্গেল ডিজিট সুদে রি-ফাইন্যান্সিং পুনঃপ্রচলন করার আহ্বান জানান তিনি।

Comments

নিচের ঘরে আপনার মতামত দিন